যোগাযোগের অর্থ
যোগাযোগ প্রক্রিয়ার বৈশিষ্ট্য :
যোগাযোগে অন্তত দুইজন ব্যক্তির দরকার।
একজন উৎস বা প্রেরক, অন্যজন 'গ্রাহক' অথাৎ তথ্য গ্রহণকারী।
একটি উপযুক্ত মাধ্যমের প্রয়োজন হয়।
মূলত ‘সক্রিয়তা' এবং ‘সহানুভূতির’ ওপর নির্ভরশীল।
যোগাযোগের মূল বিষয়টির প্রভাব অনুযায়ী এর সফলতা নির্ভর করে।
যোগাযোগ প্রক্রিয়া প্রেরক-এর ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল।
যোগাযোগে প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন বাধা-
সাধারণত ভাষার মাধ্যমেই যোগাযোগ ঘটে। কিন্তু ভাষার মধ্যে উদ্দেশ্যহীনতা, সংকেতের অস্পষ্টতা, দুবোর্ধ্য শব্দ প্রভৃতির কারণে যোগাযোগ প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে।
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, শারীরিক দুর্বলতা, শারীরিক প্রতিবন্ধকতা, আলস্যভাব প্রভৃতির কারণে যোগাযোগ প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়।
মানসিক প্রতিবন্ধকতাও যোগাযোগ প্রক্রিয়ার অন্যতম বাধা। বিভিন্ন কুসংস্কার, প্রতিকূল ধারণা প্রভৃতির কারণে উপযুক্ত যোগাযোগ প্রক্রিয়ায় বাধা আসে।
প্রেরক ও গ্রাহকের মধ্যে মনোমালিন্য বা একে অপরকে বোঝার চেষ্টা না করলে যোগাযোগ প্রক্রিয়ায় বাধা আসে। অসহযোগিতা মনোভাব ।
উচ্চারণের অস্পষ্টতা, ভাষার কাঠিন্য, রসবোধের অভাব প্রভৃতি বক্তাকে শ্রোতার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে দেয়। শ্রোতা বক্তার আসল উদ্দেশ্য বুঝতে ব্যর্থ হয়, ফলে যোগাযোগ প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটে।
বক্তার তাড়াতাড়ি কথা বলার প্রবণতা, অতি পাণ্ডিত্য শ্রোতাকে মূল অর্থ বুঝতে সমস্যার সম্মুখীন করে।
যোগাযোগ প্রক্রিয়া মূলত ‘দ্বিমুখী’। একদিকে থাকে ‘প্রেরক’, অন্যদিকে থাকে “গ্রাহক’।
যোগাযোগ প্রক্রিয়া হল জ্ঞান ও তথ্যের আদান-প্রদান।
শ্রেণিকক্ষে যোগাযোগ
প্রথমত, শিক্ষক-শিক্ষার্থী দ্বিতীয়ত, শিক্ষার্থী-শিক্ষার্থী
শ্রেণিকক্ষে সহজ-সরল, সর্বজনগ্রাহ্য ভাষা ব্যবহার।
সর্বদা শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ বৃদ্ধির চেষ্টা করতে হবে।। তার জন্য যথাযথ ও উপযুক্ত শিক্ষা-সহায়ক উপকরণ ব্যবহার করতে হবে।
শ্রেণি শিক্ষার্থীদের বয়স অনুসারে পাঠদান করতে হবে।
শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের একঘেয়েমি কাটিয়ে তুলতে হবে শিক্ষককে।
শ্রেণিকক্ষে ছবি, গান, অঙ্কন ইত্যাদির মাধ্যমে যোগাযোগের বাধা দূর করার চেষ্টা করা যেতে পারে।
প্রজেক্ট ব্যবহারের ফলে ভাষা বুঝতে অসুবিধা হলে প্রজেক্টের মাধ্যমে যোগাযোগের বাধা দূর করা হয়।
Comments