EVS - গুরুত্ব:
1. পরিবেশ শিক্ষা আমাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
2. এটি পরিবেশের সমস্ত উপাদান সম্পর্কে শিক্ষা দেয়।
3. এটি আমাদের পরিবেশের সাথে সংযুক্ত করে।
4. এটা আমাদের শেখায় পরিবেশের অপব্যবহার না করতে ।
5. এটি পরিবেশ সংরক্ষণের প্রচার করে।
6. এটি মানুষ এবং পরিবেশের মধ্যে নির্ভরতা এবং সম্পর্ককে উৎসাহিত করে।
7. এটি অর্থনীতির উন্নতিতে সাহায্য করে। অতিরিক্ত জনসংখ্যা এবং যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে
দূষণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এনভায়রনমেন্টাল স্টাডিজ দূষণ নিয়ন্ত্রণ করে।
8. এটি আমাদের পরিবেশের পাশাপাশি সমাজকে রক্ষা করে।
9. এটা শেখায় কিভাবে প্রাকৃতিক সম্পদকে বিচক্ষণতার সাথে ব্যবহার করতে হয়।
10. পরিবেশগত অধ্যয়নকে সমন্বিত করে, তাই পরিবেশগত গবেষণা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এনভায়রনমেন্টাল স্টাডিজের বিষয়বস্তু
পরিবেশ শিক্ষা পরিবেশ এবং এর উপাদান সম্পর্কে গভীর জ্ঞান দেয়। এটি একজন শিক্ষার্থীকে পরিবেশ অনুযায়ী মানিয়ে নিতে সাহায্য করে। এটি শিক্ষার্থীকে পরিবেশের সমস্যা সমাধান করতে শেখায়। পরিবেশগত অধ্যয়নের বিষয়বস্তুতে, প্রাথমিক স্তরে, বিশেষ করে সামাজিক বিজ্ঞান এবং দৈনিক বিজ্ঞান সম্পর্কিত বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে প্রধানত নিম্নলিখিতগুলি হল-
1. ইতিহাস
2. ভূগোল
3. অর্থনীতি
4. নাগরিক
5. সমাজবিদ্যা
6. দৈনিক বিজ্ঞান
7. জ্যোতির্বিদ্যা
8. সংস্কৃতি
এনভায়রনমেন্টাল স্টাডিজ সমস্যা সমাধানের জন্য বিজ্ঞান এবং সামাজিক বিজ্ঞান উভয় বিষয়ে জ্ঞান সংগ্রহ করতে সাহায্য করে।
পরিবেশ এবং রসায়ন
রসায়ন পরিবেশের বিভিন্ন উপাদান অধ্যয়ন করতে সাহায্য করে। পরিবেশ পৃথিবী, জল, বায়ু, পেট্রোল ইত্যাদি উপাদান দ্বারা গঠিত এবং তাদের সম্পূর্ণ জ্ঞান রসায়নে নিহিত। তেমনি কীটনাশক ও ওষুধ ইত্যাদি ব্যবহার করার জন্য রসায়নের সম্পূর্ণ জ্ঞান থাকা জরুরি। তাই, রসায়ন গুরুত্বপূর্ণ এবং পরিবেশের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত।
পরিবেশ এবং পদার্থবিদ্যা
আমরা পদার্থবিদ্যা দ্বারা বিভিন্ন পরিবেশগত সমস্যা সমাধান করতে পারি।পরিবেশের বিভিন্ন ভৌত জগত সম্পর্কে ধারণা দেয় ও কার্যকারণ ব্যাখ্যা দেয় যা বাস্তব জীবনে কাজে লাগে । তাই পদার্থবিদ্যা এবং পরিবেশগত অধ্যয়ন সম্পর্কিত।
পরিবেশ এবং জীববিদ্যা
আমরা অনেক জীবন্ত প্রাণী এবং কীটপতঙ্গ দ্বারা বেষ্টিত যাদের জ্ঞান জীববিজ্ঞান প্রদান করে। তাই জীববিদ্যার জ্ঞান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই পরিবেশ এবং বিজ্ঞান গভীরভাবে সম্পর্কিত এবং বিজ্ঞান পরিবেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ইতিহাস /History:
ইতিহাসের বিষয়বস্তুতে, সভ্যতার সময় থেকে বর্তমান পর্যন্ত সমগ্র ব্যবস্থার সাংস্কৃতিক তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়, বিশেষত এতে মানবিক মূল্যবোধের ইতিহাসকে স্পষ্ট করার চেষ্টা করা হয়। →ইতিহাস পড়লেই শিশু জানতে পারে আজকে কী আর আগে কী ছিল? অর্থাৎ যা কিছু উন্নয়ন ঘটছে তা ইতিহাস থেকেই বোঝা যায়, পরিবর্তন প্রকৃতির নিয়ম, তার উপলব্ধিও নির্ভর করে ইতিহাসের ওপর।
ভূগোল /Geography:
ভূগোলের বিষয়বস্তু আমাদের প্রাকৃতিক ও জৈবিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে অধ্যয়ন করা হয়। ভূগোলের বিষয়বস্তু অধ্যয়ন করলেই একটি শিশু পরিবেশ সংরক্ষণের জ্ঞান লাভ করে এবং সে দেশ, সময়, পরিস্থিতি ও সীমানা সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করে।
অর্থনীতি / Economics:
প্রাথমিক স্তর থেকেই যখন একটি শিশুকে অর্থনীতির যুগ বোঝার চেষ্টা করতে বলা হয়, তখন অর্থনীতি সম্পর্কে ধারণা জাগে, অর্থনীতির যুগ কী? অর্থ অর্জনের উৎস কি? এবং তাদের প্রাপ্ত অর্থ কীভাবে কাজে লাগাতে হবে তা মাথায় রেখে কৃষি, পশুপালন, বনায়ন, গৃহশিল্প, কুটির শিল্প এবং অন্যান্য ধরণের কাজ এবং বীমা, ব্যাংকিং, সঞ্চয় ইত্যাদি বিষয়গুলি স্পষ্ট করা হয়েছে। এর লক্ষ্য শিশুকে সঠিকভাবে আর্থ-সামাজিকভাবে সমৃদ্ধ করা।
নাগরিক বিজ্ঞান / Civics:
এতে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু শিশুকে তার অধিকার ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন করে এবং জাতির চিহ্ন ও প্রতীকের সাথে পরিচিত করে, অন্যদিকে পরিস্থিতি অনুসারে একজন ব্যক্তির ভূমিকা জনপ্রশাসন শৃঙ্খলা ও নিয়ন্ত্রণ শেখাতে সাহায্য করে । দেশের সাপেক্ষে একজন ব্যক্তির অধিকার ও আচরণ কেমন হওয়া উচিত এবং তাকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার বিষয় এটা।
সমাজবিজ্ঞান / Sociology:
একটি সমাজে পরিবার, গোষ্ঠী, শ্রেণি, বর্ণ, পুরুষতন্ত্রের মতো ব্যবস্থাগুলিকে স্পষ্ট করার ক্ষেত্রে সমাজবিজ্ঞানের বিষয়বস্তুর বিশেষ অবদান রয়েছে, এটিকে সংগঠিত এবং বজায় রাখতে হবে। যতক্ষণ সামাজিক সম্পর্ক থাকে ততক্ষণ সমাজ বিদ্যমান থাকে, তাই সামাজিক স্তরে মর্যাদা (সমাজে একটি অবস্থান) এবং ভূমিকা (কাজ) মাথায় রাখা উচিত। সমাজবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু মানুষকে সামাজিক প্রাণীতে পরিণত করে।
দৈনন্দিন বিজ্ঞান / Daily Science:
বর্তমান বিজ্ঞানের যুগে আমরা যে জিনিসগুলিই ব্যবহার করি না কেন, সেগুলিকে বিজ্ঞান কোনও না কোনও উপায়ে তৈরি করেছে। সেগুলির ভারসাম্যপূর্ণ ব্যবহার করে, আমরা প্রতিদিনের ব্যবহার শিখি। এটা পরিবেশ বিজ্ঞানের একটি অংশ, তাই মানুষের উচিত সবসময় ইতিবাচক থাকা ।
জ্যোতির্বিদ্যা / Astronomy:
দিন-রাত্রি, সূর্যগ্রহণ-চন্দ্রগ্রহণ, গ্রহ, নক্ষত্র, সময়, তারিখ ইত্যাদির প্রেক্ষাপটে শিশুকে যে তথ্য দেওয়া হয় তা জ্যোতির্বিদ্যার সাথে সম্পর্কিত।
সংস্কৃতি / Culture:
মানুষের এবং সভ্যতার সাথে মানুষের সনাতন আচরণ।
MCQ Practice
প্রশ্ন-১. পরিবেশগত অধ্যয়ন সবসময় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচিত হয়েছে কারণ-
(a) এটি আশেপাশের পরিবেশ সম্পর্কে তথ্য দেয়।
(b) পরিচ্ছন্নতা অর্জিত হয়।
(c) পরিবেশ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জীবনধারাকে প্রভাবিত করে।
(d) মানুষ বিভিন্ন সম্পদ সম্পর্কে তথ্য পায়।
প্রশ্ন-২. প্রাথমিক স্তরে এনভায়রনমেন্টাল স্টাডিজের বিষয়ের মধ্যে রয়েছে-
(a) সমাজবিজ্ঞান
(b) দৈনিক বিজ্ঞান
(c) অপশন (a) (b) উভয়ই
(d) কোনটি নয়
প্রশ্ন-৩. পরিবেশ অধ্যয়ন সম্পর্কিত কোন বিষয়ে দেশ, সময়, পরিবর্তন ও সীমানা সম্পর্কে জ্ঞান পাওয়া যায় ?
(a) পদার্থবিদ্যা
(b) ভূগোল
(c) অর্থনীতি
(d) ইতিহাস
প্রশ্ন-৪. পরিবেশগত অধ্যয়নের কোন বিষয়বস্তু প্রাকৃতিক ও জৈবিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে অধ্যয়ন করা হয় ?
(a) নাগরিক বিজ্ঞান
(b) ইতিহাস
(c) সমাজ বিজ্ঞান
(d) ভূগোল
প্রশ্ন-৫. পরিবেশগত অধ্যয়নের কোন বিষয়ের মধ্যে সভ্যতার সময় থেকে বর্তমান পর্যন্ত সমগ্র ব্যবস্থার সাংস্কৃতিক তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ?
(a) অর্থনীতি
(b) ইতিহাস
(c) দর্শন
(d) জ্যোতির্বিদ্যা
প্রশ্ন-৬. নিম্নলিখিত কোনটি নাগরিক বিজ্ঞানের / Civics বিষয়বস্তুর অন্তর্ভুক্ত?
(a) আর্থিক পরিকল্পনা
(b) সমগ্র সিস্টেমের সাংস্কৃতিক তথ্য
(c) ব্যক্তির অধিকার এবং কর্তব্য
(d) দিন রাত, সূর্যগ্রহণ, চন্দ্রগ্রহণ
প্রশ্ন-৭. দেশের পরিস্থিতি অনুযায়ী একজন ব্যক্তির অধিকার ও আচরণ কেমন হওয়া উচিত। যে বিষয় পড়ানো হবে তা হল-
(a) জ্যোতির্বিদ্যা
(b) সমাজবিজ্ঞান
(c) Public Administration
(d) অর্থনীতি
Download PDF file
Comments